মুকুটমণিপুর

মুকুটমণিপুর হল পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার একটি বিখ্যাত ভ্রমণ স্থান। এটি কংসাবতী ও কুমারী নদীর সংযোগস্থলে অবস্থিত। এখানে রয়েছে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম মাটির বাঁধ। এই বাঁধের বিশাল জলাধারটি একটি সুবিশাল হ্রদের মতো দেখতে লাগে। এই মনোরম পরিবেশ পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়।

দর্শনীয় স্থান:

 * মুকুটমণিপুর বাঁধ: এখানকার প্রধান আকর্ষণ হল এই সুবিশাল বাঁধ ও তার জলাধার। বাঁধের উপরে হেঁটে জলাধারের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। সূর্যাস্তের সময় এখানকার দৃশ্য খুবই মনোমুগ্ধকর হয়।

 * বনপুকুরিয়া ওয়াচ টাওয়ার: বাঁধের কাছেই রয়েছে এই ওয়াচ টাওয়ার। এখান থেকে বাঁধের চারপাশের অসাধারণ দৃশ্য দেখা যায়।

 * সোনালি ফিশিং পয়েন্ট: বাঁধের কাছেই রয়েছে এই জায়গাটি, যেখানে নৌকা করে ঘুরতে পারেন।

 * পরেশনাথ মন্দির: বাঁধের পাশে একটি ছোট পাহাড়ের উপরে অবস্থিত এই মন্দিরটি।

 * শালবন: মুকুটমণিপুরের চারপাশের এলাকা শালবনে ঘেরা, যা প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এক দারুণ অভিজ্ঞতা।

 * নৌকা ভ্রমণ: জলাধারে নৌকা ভ্রমণের ব্যবস্থা আছে। নৌকা করে আপনি বিভিন্ন দ্বীপে ঘুরে আসতে পারেন, যা একটি রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।

থাকার ব্যবস্থা:

মুকুটমণিপুরে সরকারি এবং বেসরকারি অনেক হোটেল, রিসর্ট এবং কটেজ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের (WBTDCL) নিজস্ব লজও আছে, যা আগে থেকে বুক করা যেতে পারে।

খাবার:

স্থানীয় রেস্তোরাঁগুলিতে বাঙালি খাবার পাওয়া যায়। এখানে বিশেষ করে নদীর মাছের পদ খুবই জনপ্রিয়।

ভ্রমণের সেরা সময়:

নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত মুকুটমণিপুর ভ্রমণের জন্য সেরা সময়। এই সময় আবহাওয়া মনোরম থাকে।

মুকুটমণিপুরের শান্ত এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ শহুরে জীবনের কোলাহল থেকে দূরে একটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা দেয়। এখানকার সৌন্দর্য মনকে শান্ত করে এবং প্রকৃতির কাছাকাছি থাকার অনুভূতি দেয়।

কিভাবে এখানে আসবেন

 * রেলপথে: নিকটতম রেল স্টেশন হল বাঁকুড়া। কলকাতা থেকে ট্রেনে করে বাঁকুড়া পৌঁছাতে পারেন। বাঁকুড়া থেকে বাস বা গাড়ি ভাড়া করে মুকুটমণিপুর যেতে পারেন।

 * সড়কপথে: কলকাতা থেকে বাসে বা নিজস্ব গাড়িতে মুকুটমণিপুরে যেতে পারেন। সড়কপথে মুকুটমণিপুরের দূরত্ব প্রায় ২৫০ কিলোমিটার।

Google Maps

Scroll to Top