ময়ূর পাহাড়
পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের একটি অংশ হলো ময়ূর পাহাড়। এটি তার অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পর্যটকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। এই পাহাড়ের চূড়া থেকে পুরুলিয়ার মন মুগ্ধ করা দৃশ্য দেখা যায়।
ময়ূর পাহাড়ের আকর্ষণ:
* ময়ূরের দেখা: এই পাহাড়ের নামকরণ হয়েছে কারণ একসময় এখানে প্রচুর ময়ূর দেখা যেত। যদিও এখন ময়ূর দেখাটা ভাগ্যের ব্যাপার, তবে যদি ভাগ্য ভালো থাকে, আপনি ময়ূরের দেখা পেতে পারেন।
* পাথুরে পথ: পাহাড়ে ওঠার পথটা মূলত পাথুরে, তবে খুব বেশি খাড়া নয়। গাছপালা, বড় বড় বোল্ডার এবং সবুজ ঘাসের মধ্য দিয়ে এই পথটি বেশ মনোরম।
* যোগিনী গুহা: ময়ূর পাহাড়ে একটি প্রাচীন গুহা আছে, যার নাম যোগিনী গুহা। এই গুহাটি তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত।


* দৃষ্টিভঙ্গি: পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছানোর পর সেখান থেকে আশেপাশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল দেখতে পাওয়া যায়। কুয়াশাচ্ছন্ন বা মেঘলা দিনে সেই দৃশ্য আরও মনোমুগ্ধকর হয়ে ওঠে।
আশেপাশের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্র:
ময়ূর পাহাড়ের কাছাকাছি আরও অনেক সুন্দর জায়গা আছে, যা আপনি একই সফরে ঘুরে দেখতে পারেন। যেমন:
* অযোধ্যা হিল টপ: অযোধ্যা পাহাড়ের প্রধান আকর্ষণগুলির মধ্যে এটি অন্যতম।
* মার্বেল লেক: এই লেকটি তার পরিষ্কার নীল জলের জন্য বিখ্যাত।
* পাখি পাহাড়: এখানে পাহাড়ের গায়ে পাখিদের নানা ধরনের ভাস্কর্য দেখতে পাওয়া যায়।
* আপার এবং লোয়ার ড্যাম: অযোধ্যা পাহাড়ের দুটি জনপ্রিয় বাঁধ।
* চড়িদা মুখোশ গ্রাম: পুরুলিয়ার বিখ্যাত ছৌ নৃত্যের মুখোশ তৈরির জন্য এই গ্রামটি বিখ্যাত।
থাকার ব্যবস্থা:
অযোধ্যা পাহাড় বা পুরুলিয়া শহরে থাকার জন্য বিভিন্ন মানের হোটেল এবং হোমস্টে পাওয়া যায়। অযোধ্যা পাহাড়ের পাদদেশে বা হিল টপে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ধরনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। ভ্রমণের আগে থেকে বুকিং করে যাওয়া ভালো।

Google Maps
কিভাবে এখানে আসবেন
* ট্রেনে: কলকাতা (হাওড়া বা সাঁতরাগাছি) থেকে পুরুলিয়া জংশন বা বরাভূম স্টেশনে আসতে হবে। পুরুলিয়া জংশন থেকে গাড়ি ভাড়া করে ময়ূর পাহাড়ে যাওয়া যেতে পারে। দূরত্ব প্রায় ৪২ কিলোমিটার, সময় লাগে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিটের মতো।
* সড়ক পথে: কলকাতা থেকে সড়ক পথে পুরুলিয়া হয়ে সরাসরি ময়ূর পাহাড়ে পৌঁছানো যায়।