জয়ন্তী

জয়ন্তী হিল হল পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলার একটি পর্যটন কেন্দ্র এবং গ্রাম। এটি ডুয়ার্সের একটি অংশ, যেখানে জয়ন্তী নদীর তীরে ভুটান পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। প্রকৃতি তার সমস্ত রূপ যেন উজাড় করে ঢেলে দিয়েছে জয়ন্তীর জঙ্গলে । জয়ন্তীর মূল আকর্ষণ এর আরণ্যক শোভা আর বালা ও জয়ন্তী নদী । বছরের অন্যসময় নদীর জল না থাকলেও বর্ষায় এই নদী কিন্তু ফুলে ফেঁপে ওঠে । জয়ন্তীর ব্রিজ একসময় অন্যতম দেখার জিনিস ছিল কিন্তু 1993 সালে বালা নদীর তোরে সে ব্রিজ পুরোপুরি ভেঙে পড়ে।  1915 সালে তৈরি এই সেতু দিয়ে গাড়ি পারাপার হত। এই পথ দিয়ে ভুটান পাহাড় থেকে ডলোমাইট নিয়ে যাওয়া আসা হতো দুর্গাপুর সহ 

দেশের অন্যান্য জায়গায়। জয়ন্তী নদীর ধারে দেখা মিলবে রংবেরঙের নানা ফুলের গাছ । নদীর জলে মাছ ধরে বেড়ায় গ্রামবাসীরা। বিকেলে বালা নদীর জলে পা ডুবিয়ে সূর্যাস্ত দেখতে কিন্তু বেশ ভালো লাগবে। নিকটবর্তী রাজাভাতখাওয়া থেকে জয়ন্তীতে ছোট ছোট কয়েকটা জঙ্গল ট্যুর হয়ে থাকে। জয়ন্তী বনবাংলো থেকে নদীর উপর দিয়ে রোমাঞ্চভরা সড়কপথে 6-7 কিলোমিটার গেলেই ছোট মহাকাল মন্দির এখান থেকে চড়াই পথ উঠে গিয়ে বড় মহাকাল মন্দির আরো উপরে সতীপীঠ জয়ন্তী। কথিত আছে এখানেই সতীর বাম জঙ্ঘা পড়েছিল। গুহার ভিতরে চুনা পাথরের তৈরি বিভিন্ন কারুকার্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। জয়ন্তীর অন্যতম

দ্রষ্টব্য ও 2 কিলোমিটার দূরের পোখরি, পাহাড়ের স্বচ্ছ জলের এই পুকুর হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের মানুষের কাছে অত্যন্ত পবিত্র বলে মানা হয়।


একটু জানিয়ে রাখি

আলিপুরদুয়ার থেকে জয়ন্তীর দূরত্ব 26 কিলোমিটার তাছাড়া হাতিপোতা পেরিয়ে যারা জয়ন্তি যাবেন তাদের আসতে হবে শামুকখোলা হয়ে। রাজাভাতখাওয়া চেকপোস্ট পেরিয়ে বনঢাকা পিচ সড়ক ধরে এগোতে হবে তারপর ডানদিকে বেঁকে সোজা জয়ন্তী।

Google Maps

কিভাবে এখানে আসবেন

1.  আপনি যদি প্লেনে আসেন তাহলে আপনার নিকটবর্তী এয়ারপোর্ট হল বাগডোগরা এয়ারপোর্ট (IXB) যেটি শিলিগুড়িতে অবস্থিত |

2. আপনি যদি ট্রেনে আসেন তাহলে আপনার নিকটবর্তী রেল স্টেশন হল Alipurduar Jn/ New Alipurduar Station.

3. আপনি নিজস্ব বা প্রাইভেট গাড়িতে করে শিলিগুড়ি, কোচবিহার বা আলিপুরদুয়ার হয়ে সরাসরি এখানে পৌছতে পারবেন | 

Scroll to Top