জয়ন্তী
জয়ন্তী পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলার একটি মনোরম গ্রাম এবং জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এটি বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের আওতায় অবস্থিত এবং ভুটান পাহাড়ের পাদদেশে জয়ন্তী নদীর তীরে এর অবস্থান। জয়ন্তীকে “ডুয়ার্সের রানি” বলা হয়।
জয়ন্তীর প্রধান আকর্ষণ:
* জয়ন্তী নদী: এই নদীর নামেই গ্রামের নাম। যদিও বছরের বেশিরভাগ সময় নদীটি শুষ্ক থাকে, বর্ষাকালে এটি ফুলে ফেঁপে ওঠে এবং এর সৌন্দর্য অপরূপ হয়ে ওঠে। নদীর নুড়ি-পাথর এবং


চারপাশের জঙ্গল ও পাহাড়ের দৃশ্য খুবই মন মুগ্ধকর।
* বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প: জয়ন্তী বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের একটি অংশ। এখানে জঙ্গল সাফারি করে বিভিন্ন বন্যপ্রাণী যেমন চিতাবাঘ, হাতি, বাইসন, হরিণ, ময়ূর এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখা যায়।
* মহাকাল গুহা: জয়ন্তীতে দুটি মহাকাল গুহা রয়েছে – ছোট মহাকাল এবং বড় মহাকাল। এটি একটি স্ট্যালাক্টাইট গুহা এবং ধর্মীয় দিক থেকেও এর গুরুত্ব রয়েছে।
* পুকুরি পাহাড়: এটি জয়ন্তীর আরেকটি আকর্ষণীয় স্থান, যেখানে
একটি পবিত্র পুকুর রয়েছে। স্থানীয় মানুষেরা এই পুকুরের জল ও মাছের পূজা করেন।
* টিজিএন-১ ওয়াচ টাওয়ার: এই ওয়াচ টাওয়ার থেকে বন্যপ্রাণী দেখার সুযোগ রয়েছে।
* ঐতিহাসিক বক্সা দুর্গ: জয়ন্তী থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই দুর্গটি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসের সাথে জড়িত।
একটু জানিয়ে রাখি
আলিপুরদুয়ার থেকে জয়ন্তীর দূরত্ব 26 কিলোমিটার তাছাড়া হাতিপোতা পেরিয়ে যারা জয়ন্তি যাবেন তাদের আসতে হবে শামুকখোলা হয়ে। রাজাভাতখাওয়া চেকপোস্ট পেরিয়ে বনঢাকা পিচ সড়ক ধরে এগোতে হবে তারপর ডানদিকে বেঁকে সোজা জয়ন্তী।

Google Maps
কিভাবে এখানে আসবেন
* আকাশপথে: নিকটতম বিমানবন্দর হলো বাগডোগরা বিমানবন্দর (শিলিগুড়ি)। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে বা বাসে আলিপুরদুয়ার হয়ে জয়ন্তী পৌঁছানো যায়।
* রেলপথে: নিকটতম প্রধান রেলওয়ে স্টেশন হলো নিউ আলিপুরদুয়ার বা আলিপুরদুয়ার জংশন। এখান থেকে প্রাইভেট গাড়ি বা বাসে জয়ন্তী যাওয়া যায়। রাজাভাতখাওয়া স্টেশনেও ভিস্তাদোম ট্রেনে আসা যায়।
* সড়কপথে: আলিপুরদুয়ার চৌপথি থেকে জয়ন্তীর দূরত্ব প্রায় ৩২ কিলোমিটার। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস আলিপুরদুয়ার ডিপো থেকে জয়ন্তীর উদ্দেশ্যে ছাড়ে।