বাতাসিয়া লুপ
বাতাসিয়া লুপ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলায় অবস্থিত একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এটি দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের একটি সর্পিল রেলপথ, যা টয় ট্রেনের যাত্রাপথে একটি মনোরম অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
বাতাসিয়া লুপ সম্পর্কে কিছু তথ্য:
* ভ্রমণের সেরা সময়: মার্চ থেকে মে এবং সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাস বাতাসিয়া লুপ ভ্রমণের জন্য আদর্শ। এই সময়ে আবহাওয়া মনোরম থাকে এবং আকাশ পরিষ্কার থাকায় কাঞ্চনজঙ্ঘার স্পষ্ট দৃশ্য দেখা যায়। দিনের বেলায় ভোর ৫টা থেকে সকাল ১০টার মধ্যে গেলে সূর্যোদয় এবং কাঞ্চনজঙ্ঘার সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করা যায়।
বাতাসিয়া লুপ দার্জিলিংয়ের অন্যতম জনপ্রিয় এবং দর্শনীয় স্থান, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্য পরিচিত।


* অবস্থান: এটি দার্জিলিং শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার (৩ মাইল) দূরে ঘুম স্টেশনের নিচে অবস্থিত।
* ইতিহাস: ১৯১৯ সালে এই সর্পিল রেলপথটি তৈরি করা হয়েছিল দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের চড়াই পথকে মসৃণ করার জন্য।
* আকর্ষণ:
* ৩৬০-ডিগ্রি দৃশ্য: এখান থেকে দার্জিলিং শহর এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্গের মনোরম ৩৬০-ডিগ্রি দৃশ্য দেখা যায়।
* যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ: লুপের কেন্দ্রে একটি যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ রয়েছে, যা ভারতের স্বাধীনতার পর থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আত্মত্যাগকারী সাহসী গোর্খা সৈন্যদের স্মরণে নির্মিত হয়েছিল। এটি ১৯৯৫ সালের ২২শে মার্চ পবিত্র করা হয়েছিল।

* ফুলের বাগান: এখানে প্রায় ৫০,০০০ বর্গফুট জুড়ে একটি সুন্দর ফুলের বাগান রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন ধরনের গাছপালা ও রঙিন ফুল দেখা যায়।
* টয় ট্রেন: দার্জিলিং থেকে ঘুম পর্যন্ত টয় ট্রেনের যাত্রাপথে বাতাসিয়া লুপ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিরতিস্থল। টয় ট্রেন এখানে প্রায় ১০-১৫ মিনিট থামে, যাতে যাত্রীরা চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে।
* প্রবেশ মূল্য ও সময়: প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এটি খোলা থাকে। প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ২০ টাকা। তবে, যারা টয় ট্রেনের টিকিট কিনেছেন, তাদের আলাদা করে প্রবেশ মূল্য দিতে হয় না।
কিভাবে এখানে আসবেন
* গাড়ি/ট্যাক্সি: দার্জিলিং শহর থেকে হিল কার্ট রোড ধরে ট্যাক্সি বা গাড়ি ভাড়া করে প্রায় ১৫-২০ মিনিটে বাতাসিয়া লুপে পৌঁছানো যায়।
* টয় ট্রেন: দার্জিলিং স্টেশন থেকে ঘুম স্টেশনের দিকে যাওয়া টয় ট্রেনে চড়েও বাতাসিয়া লুপে আসা যায়। টয় ট্রেন এখানে থামে।
* বাস: দার্জিলিং শহর থেকে ঘুম স্টেশনের জন্য স্থানীয় বাস পাওয়া যায়। ঘুম স্টেশন থেকে বাতাসিয়া লুপ হেঁটে যাওয়া যায়।