ঘুম মনেস্ট্রি

ঘুম মনেস্ট্রি, যা ইগা চোয়েলিং মঠ নামেও পরিচিত, দার্জিলিং-এর একটি ঐতিহাসিক বৌদ্ধ মঠ। এটি ঘুম শহরে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৮,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এবং দার্জিলিং অঞ্চলের প্রথম তিব্বতীয় বৌদ্ধ মঠ।
প্রতিষ্ঠা ও বিশেষত্ব
* এটি ১৮৫০ সালে মঙ্গোলীয় জ্যোতিষী ও সন্ন্যাসী সকপো শেরাব গ্যাতসো দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
* এই মঠটি তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্মের গেলুগ শাখার (হলুদ টুপি সম্প্রদায়) অনুসারী।
* মঠের প্রধান আকর্ষণ হলো একটি ১৫ ফুট লম্বা মৈত্রেয় বুদ্ধের মূর্তি, যা ভবিষ্যৎ বুদ্ধ নামেও পরিচিত।

* এখানে ১০৮ খণ্ডে বিভক্ত তিব্বতীয় বৌদ্ধ শাস্ত্র কাংগ্যুর সহ অনেক মূল্যবান হস্তলিখিত বৌদ্ধ পাণ্ডুলিপি সংরক্ষিত আছে।
* মঠের ভেতরের দেওয়ালগুলি তিব্বতীয় শিল্পকলার এক দারুণ উদাহরণ।
সময়সূচী ও প্রবেশ মূল্য
* খোলা থাকার সময়: সাধারণত সকাল ৮:০০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬:০০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। কিছু সূত্র অনুযায়ী এটি ভোর ৫:০০ টা থেকে রাত ১১:০০ টা পর্যন্তও খোলা থাকে, তবে সকালে সন্ন্যাসীদের প্রার্থনা দেখার জন্য ভোরবেলা যাওয়া ভালো।

 * প্রবেশ মূল্য: ঘুম মঠে প্রবেশের জন্য কোনো প্রবেশ মূল্য লাগে না। তবে, স্থির ক্যামেরায় ছবি তোলার জন্য ১০ টাকা এবং ভিডিওগ্রাফির জন্য ৫০ টাকা নামমাত্র ফি নেওয়া হতে পারে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

 * মঠের ভেতরে ছবি তোলার অনুমতি নাও থাকতে পারে, তাই ভেতরে ছবি তোলার আগে অনুমতি চেয়ে নেওয়া ভালো।

 * মঠের পবিত্রতা বজায় রাখতে জুতো খুলে প্রবেশ করতে হয়।

 * ঘুম মঠটি ঘুম রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

 * মঠের কাছাকাছি বাতাসিয়া লুপ এবং ঘুম মিউজিয়ামও দেখা যেতে পারে।

কিভাবে এখানে আসবেন

নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং ঘুম মনেস্ট্রি পৌঁছানোর জন্য:

গাড়ি/ড্রাইভিং দ্বারা:

* দূরত্ব: প্রায় ৭০ কিমি।

* সময়: প্রায় ২ ঘন্টা ২৬ মিনিট।

* পথ: মাটিগাড়া – কার্সিয়ং রোড এবং NH110 ধরে যেতে হবে।

ট্রেনে সরাসরি দার্জিলিং ঘুম মোনেস্ট্রি পৌঁছানোর কোনো রুট নেই। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (টয় ট্রেন) নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত চলে, কিন্তু এটি একটি ধীরগতির পর্যটন ট্রেন এবং সরাসরি ঘুম মোনস্ট্রি যায় না। আপনাকে দার্জিলিং স্টেশনে নেমে সেখান থেকে ট্যাক্সি বা হেঁটে যেতে হবে।আপনি যদি গাড়ি বা ট্যাক্সিতে যান, তাহলে এটি সবচেয়ে সরাসরি এবং সুবিধাজনক উপায়।

Google Maps

Scroll to Top