আজিমুন্নেশা বেগমের সমাধি

মুর্শিদাবাদের অন্যতম একটি ঐতিহাসিক স্থান হলো আজিমুন্নেশা বেগমের সমাধি। এটি শহরের অন্যতম একটি আকর্ষণীয় স্থান যা আজও পর্যটকদের আকর্ষণ করে। আজিমুন্নেশা বেগম ছিলেন নবাব সুজা-উদ্দিন মুহাম্মাদ খানের স্ত্রী।

আজিমুন্নেশা বেগমের সমাধি

মুর্শিদাবাদ শহরে ভাগীরথী নদীর পূর্ব তীরে, আজিমুন্নেশার এই সমাধিটি অবস্থিত। জনশ্রুতি আছে যে, আজিমুন্নেশা নাকি অত্যন্ত নিষ্ঠুর এবং ভয়ংকর প্রকৃতির ছিলেন। তিনি শিশু হত্যা করে সেই মৃতদেহ থেকে যকৃত বের করে তা দিয়ে ওষুধ তৈরি করতেন এবং নিয়মিত খেতেন। এই কারণে আজিমুন্নেশা বেগমের মৃত্যুর পর তাকে সাধারণ সমাধির মতো দাহ না করে, তার বাবা নবাব মুর্শিদ কুলি খাঁ তাকে কবর দেওয়ার

নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই সমাধিটি কাঠগোলা বাগিচার কাছে অবস্থিত। তবে আজিমুন্নেশার এই সমাধিটি আজও পর্যটকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।

ভ্রমণের সেরা সময়

মুর্শিদাবাদ ঘোরার সেরা সময় হলো শীতকাল। অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত আবহাওয়া থাকে অত্যন্ত মনোরম। এই সময়ে আপনি সহজেই আজিমুন্নেশার সমাধি এবং অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থানগুলো ঘুরে দেখতে পারবেন।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান

আজিমুন্নেশার সমাধি দেখতে গেলে আপনি কাছাকাছি আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থান দেখতে পারেন 

তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

 * কাঠগোলা বাগিচা: এই বাগিচাটি একটি প্রাচীন মন্দির এবং একটি সুন্দর বাগান দিয়ে গঠিত।

 * জগৎ শেঠের বাড়ি: এটি বাংলার সেই বিখ্যাত ব্যাংকারের বাড়ি, যিনি ইংরেজদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে সিরাজউদ্দৌলার পতন ঘটান।

 * নবাব হাউস বা হাজারদুয়ারি প্যালেস: মুর্শিদাবাদের প্রধান আকর্ষণ এটি। এখানে হাজারটি দরজা আছে, যার মধ্যে ৯০০টি আসল।

 * মতিঝিল: একটি সুন্দর লেক এবং নবাবদের একটি পুরোনো প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ এখানে দেখতে পাওয়া যায়।

মুর্শিদাবাদে ভ্রমণ করলে ঐতিহাসিক এই স্থানটি আপনাকে অবশ্যই অবাক করবে। এটি শুধুমাত্র একটি সমাধি নয়, এর পেছনে লুকিয়ে আছে একটি ঐতিহাসিক গল্প।

কিভাবে এখানে আসবেন

আজিমুন্নেশার সমাধিটি ভাগীরথী নদীর পূর্ব পারে অবস্থিত। মুর্শিদাবাদ শহরে প্রবেশ করে আপনি যেকোনো রিকশা বা টোটোতে করে এই জায়গায় পৌঁছাতে পারবেন। শহরের ঐতিহাসিক স্থান যেমন নবাব হাউস বা হাজারদুয়ারি প্যালেস থেকে এটি খুবই কাছাকাছি।

Google Maps

Scroll to Top